এসকে সিনহার মামলা : ২ আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় দুই আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
ওই দুই আসামি হলেন; টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। এ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১১ বছর দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। গত ৯ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ১১ বছর দণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে তাই এসকে সিনহাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে ওই দিন জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। একই মামলার অপর দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছিলেন আদালত।
এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।
দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রায়ের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন একই আদালত। তবে সেদিন অসুস্থতার কারণে বিচারক ছুটিতে থাকায় রায়ের জন্য ২১ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করা হয়। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় গত ২১ অক্টোবর রায়ের তারিখ দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে ৯ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত।এসকে সিনহাসহ এ মামলায় মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচারকাজ।
এমএইচডি/এসকেডি