খালেদার জন্মদিন নির্ধারণে হাইকোর্টে শুনানি বুধবার
১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে জারি করা রুল এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাকিলা রওশন ও অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সকল নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে জন্মদিন পালন করেছেন। তার জন্মদিন সংক্রান্ত পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশন, ম্যারিজ সার্টিফিকেট, এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তির ফরম, মেট্রিকুলেশনের সার্টিফিকেটের তথ্য আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের আইজি, এসবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশন ও এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এসব প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার তিনটি জন্মদিন পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ তিনটি তারিখ হলো- ১৯৪৬ সালের ৮ মে, ১৫ আগস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর।
গত ১৩ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের সব নথি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়। রিট শুনানিতে বিরোধিতা করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করায় তাকে কেন সাজা দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জন্ম নিবন্ধনের সব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি ও খালেদা জিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে।
এমএইচডি/এসকেডি/জেএস