মুরাদ হাসানের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, মুরাদ হাসানের এমপি থাকবে কিনা এ সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার নেবেন। সংক্ষুব্ধ যেকোনো ব্যক্তি তার এমপি পদ থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

পরে আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে রিট আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মুরাদ হাসানের কর্মকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। 

গত ৭ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্য সংবলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে। তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

এরই মধ্যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওই চিত্রনায়িকার উদ্দেশ্যে ‘কুরুচিপূর্ণ’ কথা বলতে শোনা গেছে। এই কথোপকথন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল।

এমএইচডি/ওএফ