অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বলেছেন, আমি যখন ইভ্যালিতে জয়েন করি, তার আগে থেকেই ৪০ লাখ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটিতে যুক্ত ছিল। তাই আমিও আস্থা রেখেছিলাম। ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার ক্ষেত্রে এরপর থেকে সতর্ক হয়ে কাজ করব।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

ইভ্যালির গ্রাহকের মামলা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। সে কারণে আদালত জামিন দিয়েছেন। আমার আইনের ওপর আস্থা আছে। আশা করি, এখন বা ভবিষ্যতেও শিল্পীরা হয়ত হয়রানির শিকার হবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের শিল্পীদের সহযোগিতা করার জন্য নিজস্ব কোনো আইনজীবী, এজেন্সি, ম্যানেজার নেই। আমাদের নিজেদের সব ডিল করতে হয়। আমি শতাধিক ব্রান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এই ধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতির জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৮ সপ্তাহ পর মিথিলা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ তার জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।

আদালতে মিথিলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। এর আগে মামলায় আগাম জামিন নিতে বিকেল ৩টার পর আদালতে হাজির হন তিনি।

গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে জামিন আবেদন করেন মিথিলা।

গত ৪ ডিসেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকেও আসামি করা হয়েছে। 

এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।

মামলা দায়েরের পর ওসি বলেছিলেন, মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।

এমএইচডি/এমএইচএস