আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম

আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় ১২ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ১৫ নভেম্বর তিনি জামিন পান। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতা নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

এমএইচডি/আরএইচ