ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ মাসের জন্য এটি স্থগিত করে আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
সকালে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন তিনি বলেন, শ্রম আইনে মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আবেদনের ওপর গত সপ্তাহে আংশিক শুনানি হয়েছে। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল তার পক্ষে শুনানি করেছেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
এমএইচডি/জেডএস