চট্টগ্রামে বোমা হামলার ঘটনায় ৫ জঙ্গির বিচার শুরু
চট্টগ্রাম নগরীর নৌ বাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে বোমা হামলা মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে পাঁচ জঙ্গির।
রোববার (২১ নভেম্বর) দ্বিতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এছাড়া আগামী ২৩ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিনও ধার্য করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ঈশা খাঁ ঘাঁটির ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলায় আজ রোববার (২১ নভেম্বর) অভিযোগ গঠন করে পাঁচ জঙ্গির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ চার আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন।
পাঁচ জঙ্গি হলেন- রমজান আলী, বাবুল রহমান, আবদুল মান্নান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন। এর মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য। হামলার সময় প্রেষণে র্যাবে কর্মরত ছিলেন, ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে পতেঙ্গা মসজিদে জুমার নামাজের সময় আসামি আবদুল মান্নান মুসল্লিদের ওপর পরপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় মুসল্লিরা হামলাকারী মান্নানকে ধরে ফেলেন। পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এই হামলার সাথে জড়িত রমজানকেও ধরে ফেলা হয়। মামলার অপর আসামি বাবুল রহমানকে ২০১৭ সালের গ্রেফতার করে র্যাব। অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আবদুল গাফফারকে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি এই মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গ্রেফতার দেখানো হয়। আর সাখাওয়াত পলাতক রয়েছেন। হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।
হামলার নয় মাস পরে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালে অক্টোবরে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
কেএম/এইচকে