সরকার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসকে আদালতে হাজির করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কিলার আব্বাসের নাম, পরিচয় ও তার ক্রিমিনাল রেকর্ড সংক্রান্ত প্রতিবেদন আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কিলার আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার সাকির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর সরকার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসকে কারাগারে আটক রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী বাপ্পী বলেন, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ১১টি মামলায় কিলার আব্বাস খালাস পেয়েছেন। ডাকাতির অভিযোগে একটি মামলা তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন আছে। এই মামলাতেও তিনি জামিন পেয়েছেন ২০১৬ সালে। তারপর কী কারণে তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে আমরা জানি না। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।

রিট আবেদনে কিলার আব্বাসকে আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে হাজির করা, তার ক্রিমিনাল রেকর্ড দাখিল এবং পুলিশের ওয়েবসাইটে থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেফতার হন আব্বাস। তখন থেকে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন তিনি। 
কিলার আব্বাসের পুরো নাম আব্বাস আলী। বাবার নাম সাহাবুদ্দীন ওরফে তমিজ উদ্দীন। তার পরিবার থাকে উত্তর কাফরুলে।

এমএইচডি/জেডএস