প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘চাকরিকাল’ গণনা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রথম যোগদানের তারিখ থেকেই ‘চাকরিকাল’ গণনার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে অন্য উপজেলায় বদলি হওয়া বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য তৈরি করা গ্রেডেশন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দেশের বিভিন্ন উপজেলায় বদলি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭ সহকারী শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট চারজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শুনানি শেষে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সম্প্রতি সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিতে জ্যেষ্ঠতার তালিকা (গ্রেডেশন লিস্ট) চূড়ান্তকরণের কাজ হাতে নিয়েছে। শিক্ষকদের গত মাস থেকে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। সেখানে ‘আপনি বহিরাগত শিক্ষক কি না, কবে এ উপজেলা/থানায় যোগ দিয়েছেন’— এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। নিজ উপজেলার বাইরে বদলি হয়ে গেলে নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষককে ‘বহিরাগত শিক্ষক’ বলছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রশ্নে সারাদেশে সহকারী শিক্ষকরা ‘বহিরাগত’ ও ‘স্থানীয়’— এ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অর্থাৎ বদলি হওয়া শিক্ষকদের সর্বশেষ যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৯ সালের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন নীতিমালায় কোথাও বলা নেই যে বদলি হলে আগের অভিজ্ঞতা গণনা করা হবে না। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়— বলেন ওই আইনজীবী।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. সুলতানা রাজিয়া, মোছা. সাবিকুন নাহার, আবিদা সুলতানা, মিনি রানী বিশ্বাস, খন্দকার মোফাজ্জল হোসেন, নাছিমা আক্তার, তুহিন আক্তার, অজান্তি রায়, সঞ্চিতা তালুকদার ও নুরুন নাহারসহ ৩৭ সহকারী শিক্ষক রিটটি দায়ের করেন।
এমএইচডি/এমএআর/