সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারিকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় সঙ্গীত শিল্পী মিলাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে মিলার বিচার শুরু হলো। মামলার অপর আসামি হলেন মিলার সহযোগী পিস জন পিটার হালদার ওরফে কিম।

রোববার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। 

আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহীনুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মিলা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৪ জুন মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন মিলা এবং কিম জন পিটার হালদারের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সঙ্গীতশিল্পী মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারির ওপর এসিড নিক্ষেপের সঙ্গে আসামি কিম জন পিটার জড়িত আছেন বলে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার আগে ২০১৯ সালের ২৬ মে আসামি কিম মিরপুর ডিওএইচএস সরকার মার্কেটের হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে এসিড কেনেন। পরে মামলার অপর আসামি সঙ্গীতশিল্পী মিলার সঙ্গে পরামর্শ করে পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মে এসিডসহ এস এম পারভেজ সানজারির বাসার সামনে যান কিম। কিন্তু সেদিন বাসার সামনে সানজারিকে না পেয়ে ফিরে আসেন। আসামি মিলার কথামতো অজ্ঞাত আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালের ২ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে সানজারির বাসার সামনে যান কিম। সানজারির মোটরসাইকেলের সামনে আসেন কিম। তখন কিম সানজারিকে বলেন, ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে মেরে ফেলবে।’ কিন্তু সানজারি কিম জনকে চিনে ফেলেন। সানজারি বাসার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে কিম এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এসিডে সানজারির শরীরের ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক।

এর আগে মিলা ২০১৭ সালের অক্টোবরে সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। যৌতুক ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করা হয়। মামলার পর পারভেজ সানজারি ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেফতারও হন।

২০১৭ সালের ১২ মে মিলা ও সানজারি বিয়ে করেন। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ হয়।

টিএইচ/জেডএস