যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পেছাল। পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, ‘এদিন মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আদালত ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।’

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন আদালত।

গত বছর ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুম ভাড়া নেন পাপিয়া। তিনি নগদে মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা বিল পরিশোধ করেন। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেন পাপিয়া। এসব অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। 

এছাড়া, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত বাসা ভাড়া ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা, নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকে নিজের ও স্বামীর নামে জমা রাখা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। 

অন্যদিকে, র‍্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি জব্দ করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।

মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এসব অর্থের বৈধ উৎসের দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

টিএইচ/এমএইচএস