মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজধানীর কদমতলীর কে এস মেটালকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং জব্দ তালিকা ছাড়া এক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যাওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

রুলে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ জরিমানার ১৫ লাখ টাকা এবং মালামাল ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জব্দ তালিকা ছাড়া নিয়ে যাওয়া মালামালের তালিকা এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত ঢাকা পোস্টকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, গত ৬ মার্চ রাজধানীর কদমতলীর কবির আহমদের প্রতিষ্ঠান কে এস মেটাল থেকে ওই সময়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট কে এস মেটালকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে জব্দ তালিকা ছাড়াই ১৫ টন তামা ও দুই টন পিতল নিয়ে যান। যার মূল্যমান এক কোটি টাকা।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন কে এস মেটালের মালিক কবির আহমেদ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালেয়র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজিপি, রাবের ডিজি, ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও কদমতলী থানার ওসিকে রিটে বিবাদী করা হয়।

এমএইচডি/জেডএস/জেএস