মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়নে রুল
জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ১৯৮৩ সালের নীতিমালা বাতিল করে কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
দেশের বিভিন্ন এলাকার জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষকের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ও অসংবিধানিক ঘোষণা করেছেন এবং ২০১৩ সালে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারি করা কিছু অধ্যাদেশ কাযর্কর করার লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত জাতীয়করণ করা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের জন্য কোনো বিধি প্রণয়ন করা হয়নি।
আগের জাতীয়করণ করা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ১৯৮৩ সালের নীতিমালা দিয়ে এখনও নিয়োগ কাযর্ক্রম করছে। এর ফলে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের চাকরির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ও অসংবিধানিক ঘোষণা করেছেন এবং ২০১৩ সালে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারি করা কিছু অধ্যাদেশ কাযর্কর করার লক্ষ্যে একটি আইন প্রণনয় করা হয়। কিন্তু নতুন কোনো বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় ১৮ জন শিক্ষক রিট দায়ের করেন।
রিটকারী কয়েকজন হলেন- মো. আজিম উদ্দিন, পরিমল চন্দ্র সরকার, মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, মো. শাহনওয়াজ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, শাহজাহান খাঁন, মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মনজুরুল হাসান, মো. সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ সিরাজুল হক প্রমুখ।
এমএইচডি/জেডএস