জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তার বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে, নাকি মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে জাপানে চলে যাবে, সে বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে শিশুদের বাবার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। শিশুদের মায়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। 

জাপানি শিশুরা আগামী ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ রায় না হওয়া পর্যন্ত গুলশানের ফ্ল্যাটে থাকবে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন, তাদের সঙ্গে জাপানি মা নাকানো এরিকো ২৪ ঘণ্টা থাকবেন। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ শুধু দিনের বেলা সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারবেন। এই সময়ে ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া শিশুদের বাবা-মাকে সমান ভাবে বহন করতে হবে। 

গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাপানি শিশুদের নিয়ে বাবা-মাকে সমঝোতার সুযোগ দিয়েছিলেন আদালত। সেদিন ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলা মুলতবি করেছিলেন আদালত। তখন পর্যায়ক্রমে গুলশানের ফ্ল্যাটে একদিন করে মা ও একদিন করে বাবাকে শিশুদের সঙ্গে থাকার কথা বলা হয়।

২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ে করে টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরান-এরিকোর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। 

২১ ফেব্রুয়ারি জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে তিনি দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। বাংলাদেশের একজন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন এবং দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে হাইকোর্টে রিট করেন জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। 

এমএইচডি/আরএইচ