মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। আত্মসমর্পণ করে মামলাটিতে পরীমণি ও তার দুই সহযোগী ফের জামিন পান। একইসঙ্গে এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন পিছিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। এসময় তাদের আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সৌরভী জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিনের আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় চার্জশিট গ্রহণ শুনানি হয়নি। আগামী ১৫ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসেন পরীমণি।

গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এসময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

এরপর ৩ দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

টিএইচ/এসএসএইচ