৩ শিক্ষকের পক্ষে বিনা পয়সায় লড়বেন কামরুল হক সিদ্দিকী
১৮ বছর ধরে বেতন না পাওয়া তিন শিক্ষকের পক্ষে বিনা ফি-তে আপিল বিভাগে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন প্রখ্যাত সিভিল আইন বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
২০০৩ সাল থেকে বগুড়ার জাহিদুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছেন মিজানুর রহমান, ইসমত আরা ও সেলিনা আক্তার। এমপিও সুবিধা পেতে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট এই শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায় এ নিয়ে আর শুনানি হয়নি।
আজ এ তিন শিক্ষক সুপ্রিম কোর্টে এসে প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চে যুক্ত হয়ে দ্রুত লিভ টু আপিল শুনানি চান। একইসঙ্গে তারা ১৮ বছর বেতন না পাওয়ার দুঃখ-কষ্টের কথা আদালতের কাছে তুলে ধরেন। কোনো আইনজীবী না থাকায় শিক্ষক ইসমত আরা নিজেই আপিল বিভাগে কথা বলেন।
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আপনারা ১৮ বছর ধরে বেতন না পাওয়ার কথা বললেন। আপনাদের দুঃখ- কষ্ট আছে বুঝলাম। কিন্তু আমাদের তো আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। এমপিও নিয়ে এর আগেও আমাদের আদালতের কয়েকটি সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও দেখতে হবে। তাই কী আদেশ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, আইন মেনেই আমাদের আদেশ দিতে হবে। তবে আপনাদের মানবিক দিকটিও আমরা দেখব।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আদালতকে বলেন, মাই লর্ড, তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী থাকলে ভালো হতো। তখন ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সিভিল আইন বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী আদালতকে বলেন, মাই লর্ড, আমি তাদের পক্ষে মামলাটি লড়তে রাজি।
এ সময় অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী এ মামলার ওকালতনামাসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ নিজেই বহন করবেন বলে আদালতকে জানান। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করে দেন।
এমএইচডি/আরএইচ