চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের করা মামলার চার্জগঠন পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ তৃতীয় মো. জসিম উদ্দিন এ আদেশ দেন।  

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন আহমদ । 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলার চার্জগঠনের কথা ছিল আজ সোমবার। কিন্তু আদালত আজ চার্জগঠন করেননি। আগামী ১০ নভেম্বর চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, আলোচিত কোকেন চোরাচালান মামলার অভিযোগপত্র ২০২০ সালের ২৫ জুন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব-৭। আজ ছিল মামলার চার্জ গঠনের তারিখ।  

আলোচিত এ মামলার আসামিরা হলেন : চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার জব্দের পর সিলগালা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।

কেএম/এসকেডি