পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে দেশের বাইরে না নিতে বাবা মুসফেক আলমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে মায়ের জিম্মায় দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মাহমুদুল হকের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম।

গত ২০ অক্টোবর পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন শিশুটির মা তাসনোভা ইকবাল। আবেদনে শিশুকে দেড় বছর ধরে তার মাকে দেখতে না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া শিশুকে বিদেশেও নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

শিশুটির বাবা মুসফেক আলম সৈকত, দাদা ড. শামসুল আলম ও দাদী মোমতাজ আলমকে বিবাদী করে এ আবেদন দায়ের করা হয়।

তাসনোভা ইকবালের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুসফেক আলম ও তাসনোভা ইকবালের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তাদের পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু দেড় বছর ধরে মা তাসনোভা ইকবালের কাছ থেকে সন্তানকে দূরে রাখা হয়েছে। এসময়ে তাকে সন্তানকে দেখতেও দেওয়া হয়নি। আগে আমরা নিম্ন আদালতে সন্তানকে দেখতে চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত ভার্চুয়ালি দেখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মা তাসনোভা ইকবাল শিশুকে নিজের জিম্মায় নিতে চান। এ কারণে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।

রাজধানীর গুলশানের বাসিন্দা তাসনোভা ইকবালের বাবা ইকবাল কামাল ও মা নাজমা সুলতানা।

এমএইচডি/এসএসএইচ