মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রোববার (২৪ অক্টোবর) লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে আজ লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেননি দুই বিচারক। ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চান তারা।

রোববার সকালে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনজীবী তাদের পক্ষে এক সপ্তাহ সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে পরীমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফা ইতোমধ্যে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার জন্য দুই বিচারকের পক্ষে আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। এরপর পরীমণিকে মোট ৩ দফায় চার দিন, দুইদিন ও একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাদের দেওয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আবার তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। 

এআর/এসকেডি/জেএস