দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আবুল কালাম আজাদ। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ মজুমদার। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালতের দুদক শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।

এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। 

টিএইচ/জেডএস/জেএস