দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে আ.লীগ নেতাকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ নয়
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের নাম দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধান থেকে বাদ দেওয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, দুই কমিশনার, শিবলী সাদিকসহ ছয় জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম।
পরে ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, টেস্ট রিফিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময় টাকার (কাবিটা) ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ২০১৭ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শিবলী সাদিকের নাম অনুসন্ধান থেকে বাদ দেওয়া হয়।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম।
শুনানিতে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুদকের মামলায় পাঁচ বছর সাজা হয়। এরপর হাইকোর্টে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের এ নেতার নাম দুদকের অনুসন্ধান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেখানে পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে কাবিটার ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি এ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী এম আশরাফুল বলেন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বরাদ্দ করা টেস্ট রিলিফের ২৭ লাখ টাকা দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিল্পী সাদিক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। দুস্থ, অসহায় পরিবার ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টিয়ার বরাদ্দ দেওয়ার বিধান থাকলেও দেলদুয়ারে চলে হরিলুট। বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান করে দুদক তার নামসহ অভিযোগটিও বাতিল করে দেয়। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমি উচ্চ আদালতে রিট করি।
এমএইচডি/এসএসএইচ