প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর)মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট মতিউর রহমানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মন্জুর করে এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
প্রথম আলো সম্পাদকের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং ১২ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে ‘কিশোর আলো’র সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হককে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন− কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
এর আগে নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে মামলাটি।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে একই বছরের ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নিহত নাইমুল আবরারের বাবা মুজিবুর রহমান।
টিএইচ/এসএম