১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনা হাইকোর্টে নজরে আনলেন আইনজীবী
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টে নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। দুপুর ২টার পর এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান আইনজীবী।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী জানান, 'এ ঘটনায় যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেছেন।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষিক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের জন্য ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রাতে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এমএইচডি/জেডএস