পরীমণির গাড়ি জিম্মার প্রতিবেদনে পিতা ও স্বামীর নাম না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৮সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে পরীমণির গাড়িসহ অন্য একটি প্রতিবেদনের শুনানিতে এ অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, যেহেতু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফা গাড়িটি জিম্মায় দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাই রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নেই। তবে গাড়ি জিম্মায় দেওয়া প্রতিবেদনে পরীমণির পিতা ও স্বামীর নাম না থাকায় প্রতিবেদনটি অসম্পূর্ণ হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে আদালতে হাজির হন পরীমণি। এরপর বিচারক এজলাসে আসেন। পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী শুনানি শুরু করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী পরীমণির ব্যবহৃত সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ অন্যান্য জব্দ করা আলামত ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই এবং অন্যান্য জব্দকরা আলামতের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। অভিযানের সময় পরীমণির গাড়িসহ বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারের পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুই দিন এবং তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। রিমান্ড এবং কারাগার মিলিয়ে ২৭ দিন থাকার পর গত ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি।

টিএইচ/এসকেডি