পাঠ্যবইয়ে ভুল : এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে থাকা ভুলের ব্যাখ্যা দিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ নভেম্বর তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
শুনানিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার সময় পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ভুল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, পাঠ্য বইয়ে এত ভুল থাকা দুর্ভাগ্যজনক।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এ আদেশ দিয়েছেন। রিট আবেদনটি দায়ের করা অভিভাবকের নাম মো.আলমগীর আলম।
রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইতে থাকা ভুল সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম), সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলী মুস্তফা খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিট আবেদনে বলা হয়, সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে ১০ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে-১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। “এই নির্বাচন ছিল শুধু পূর্ব পাকিস্তানের।” কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সব প্রদেশে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছিল।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে শিরোনাম-মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিঃ ৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক সাহসী, ত্যাগী ও দুরদর্শী নেতার ‘আর্বিভাব’ হয়। অথচ প্রকৃত সত্য এই যে, বঙ্গবন্ধু হঠাৎ কোনো ‘আর্বিভূত’ নেতা নন। তিনি তিলে তিলে বাঙালি জাতির নেতা হয়ে উঠেছেন।
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে ১৩ নং পৃষ্ঠায় ‘মাইল’ এর স্থলে ‘কিলোমিটার’ হবে।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের ২ থেকে ৯ নং পৃষ্ঠার বিভিন্ন জায়গায় “শেখ মুজিব” লেখা হয়েছে। অথচ বর্তমানে সব ক্ষেত্রে “বঙ্গবন্ধু” লিখতে হবে। ২১ নং পৃষ্ঠায় ‘মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি’ এর স্থলে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি’ হবে। ২৯ নং পৃষ্ঠায় ‘প্রেসিডেন্ট ভবন’ এর স্থলে ‘বঙ্গভবন’ হবে।
এমএইচডি/এসএসএইচ/জেডএস