ইভ্যালির রাসেল রিমান্ড শেষে আদালতে
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বর্তমানে তিনি আদালতের হাজতখানায় আছেন।
বিজ্ঞাপন
হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর তার স্ত্রীর রিমান্ড নামুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলে এজাহার সূত্রে জানা যায়।
তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। শিশুদের নানা পণ্যের ব্যবসা ছেড়ে সামান্য পুঁজি নিয়ে রাসেল ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংস্থার এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে গ্রেফতার রাসেল র্যাবকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
টিএইচ/এমএইচএস