ফরিদপুরের দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার মামলার আরেক আসামি আশিকুর রহমান ফারহানের ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ঠিকাদারী লাইসেন্স থাকলে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) আসামি আশিকুর রহমান ফারহানের জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এ মামলায় চার্জশীটভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে চার নম্বর আসামি আশিকুর রহমান ফারহান ওরফে মো. আশিক। অর্থ পাচারের বিষয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে।

হাইকোর্টে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আশিকুর রহমানের ঠিকাদারি লাইসেন্স আছে কিনা থাকলে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুর দিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। এতে আটক হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হয়। তারা দুজন বিভিন্ন সময়ে আদালত ও পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম উঠে আসে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও মো. তারিকুল ইসলাম নাসিম।

এমএইচডি/এমএইচএস