রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরুর দিনে কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা এ আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাইদুল ইসলাম পলক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সেজন্য মামলার বাদী আদালতে হাজির হয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীর সমন বাদীর নিকট পোঁছাতে না পারায় আদালত সাক্ষ্য নিতে পারেন নাই। তবে আদালত আগামী ২৪ অক্টোবর বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলায় ১৫ আসামির মধ্যে জাফর ও ওয়াসিম শিশু হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এদিকে এ হত্যা মামলায় ১৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। 

মামলার গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- মো. শাহীন (৩১), বাচ্চু মিয়া (২৮), মো. বাপ্পি (২১), ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা (২০) মুরাদ মিয়া (২২), সোহেল রানা (৩০), বিল্লাল (২৮), আসাদুল ইসলাম (২২), মো. রাজু (২৩), আবুল কালাম আজাদ (৫০), কামাল হোসেন (৪০), মো. ওয়াসিম (১৪), রিয়া বেগম ময়না (২৭), জাফর হোসেন ও মহিউদ্দিন।

আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেণু। এসময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত প্রায় ৫শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

টিএইচ/এইচকে