ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকর্মীকে রোববার জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

বিচারক তাদের জামিনের আদেশ দেওয়ার পর ডা. জাফরুল্লাহ বিচারককে উদ্দেশ করে বলেন, এ জামিনের আদেশ শোনার পর আমার বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল।

জামিন শুনানির শুরুতে বিচারককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, স্যার আমি কিছু বলতে চাই? তখন বিচারক বলেন, আপনি কি পার্টির? তিনি বলেন, না। তবে আমি নাগরিক হিসেবে একটু কথা বলতে চাই। পরে তাকে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এ রকম অনেক মামলা হয়েছিল। কোনো বিচারক সাহস করে জামিন দিতে পারেননি। তবে একজন বিচারক জামিন দিয়েছিলেন। আজ এ ছাত্রদের জামিনের আদেশ শুনে আমার বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল। 

তিনি বলেন, এ ছাত্ররা যখন মতিঝিল-পল্টনে আন্দোলন করছিলেন, তখন আমি নিজেও ছিলাম। তারা তো পুলিশের ওপর কোনো হামলা করেননি। ছাত্ররা কি পুলিশের ওপর হামলা করতে পারেন? কেন তাদের এতদিন কারাগারে থাকতে হলো? 

এর আগে দুপুর একটার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসেন। তিনটার পর  নেতাকর্মীদের জামিন শুনানি শুরু হয়। পুরো সময়জুড়ে তিনি আদালতের ভেতরেই বসে ছিলেন।

টিএইচ/আরএইচ