গাড়িতে বসেই শুনানির অপেক্ষায় পরীমণি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে গেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। শুনানির নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি আদালতে পৌঁছান। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে আদালতের হাজতখানায় নিজ গাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
জানা গেছে, হাজতখানায় দাঁড়িয়ে হাজিরার কাগজে স্বাক্ষর করেছেন পরীমণি। এ সময় কিছুক্ষণ তার আইনজীবীর সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন। এরপর থেকে সেখানেই নিজ গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পৌঁছান পরীমণি।
এরপর ষষ্ঠ তলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রতের আদালতে তিনি হাজির হন। কিন্তু পরীমণির আইনজীবী মামলার নথিতে হাজিরা জমা না দেওয়ায় তখন তার হাজিরা হয়নি। আদালতের বারান্দায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি আবার নিচে নেমে যান।
বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে জানায়, এদিন দুপুর ১টায় পরীমণির হাজিরা শুনানি হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়ের আগে চলে আসায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত পরীমণির হাজিরা আদালতে মামলার নথিতে পৌঁছায়নি।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ আগস্ট কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এতদিন পরে শুনানির দিন ধার্য করায় পরীমণির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। তারা দ্রুত সময়ে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
টিএইচ/এমএইচএস