অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিচারক দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালালউদ্দিন পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী চালক মালেককে একমাত্র আসামি করে এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলার আজ চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক তা স্বাক্ষর করেন।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আব্দুল মালেক ওরফে বাদল ডিজির গাড়ির চালক। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রায় ২০/২৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি তার নিজ কর্মস্থলে খুবই প্রভাবশালী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবীকে কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধ অর্থের মালিক হয়। 

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১ উত্তরা আব্দুল্লাহপুর মোড় এলাকায় ডিউটি থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ থানা এলাকায় আসামি আব্দুল মালেক ওরফে বাদলের বাসায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা, একটি স্যামসাং ফোন, একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামির মালেকের বাসা তল্লাশি করে খাটের তোষকের নিচে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও  ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগে থানায়‌ র‌্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন (শহর ও যান) বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫, এ (বি)সহ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনের ৪৮৯(গ) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে ১৮৭৮ এর ১৯ (এ) ধারায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।

টিএইচ/এসএম