পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড : বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার রিমান্ড দেওয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন দায়ের করেন।
গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণির তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে পরীমণিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব-১।
এদিকে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণিকে ‘জামিন না দিয়ে অনেক দেরিতে আবেদন শুনানির তারিখ ঠিক করা’ প্রশ্নে রুল জারি করেন। রুলে পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের আদেশের আলোকে ৩১ আগস্ট পরীমণির জামিন শুনানি করেন বিচারিক আদালত। ওই দিন শুনানি শেষে তাকে জামিন দেওয়া হয়। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর সকালে পরীমণি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এমএইচডি/এসএম/জেএস