শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ শিশু হত্যা : এক কর্মকর্তার জামিন স্থগিত
বহুল আলোচিত যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন শিশু বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই কেন্দ্রের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট বন্দি শিশু-কিশোরদের ওপর কর্মকর্তাদের নির্যাতনে তিন শিশু নিহত হয়। নিহতরা হলো- বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরামানিকের ছেলে নাঈম হোসেন, খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি ও বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন।
ওই ঘটনায় আহত হয় ১৫ শিশু-কিশোর। এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব তদন্ত প্রতিবেদনে ওই কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম উঠে আসে।
তিন শিশু হত্যার ঘটনায় নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির পিতা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের চার কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক অপর চার শিশুর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করে। এছাড়া একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আসামি চার কর্মকর্তা হলেন- সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকোসোস্যাল কাউন্সেলর মুশফিকুর রহমান। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান শাহানুর আলম। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন স্থগিত ও আত্মসমর্পণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে।
এমএইচডি/এইচকে