অস্ত্র মামলায় ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে আরও ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় আরও পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
তারা হলেন- র্যাব-১ এর এসআই সাজেদুল ইসলাম, কনস্টেবল আনিসুর রহমান, ড্রাইভার শফিকুল ইসলাম, জনৈক মোতালেব হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। এ নিয়ে মামলায় সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেণ আদালত। এদিন আসামি মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়ার ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার আব্দুল মালেক ওরফে বাদল ডিজির গাড়ির ড্রাইভার। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কর্মস্থলে খুবই প্রভাবশালী তিনি, দীর্ঘদিন জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবি কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ আব্দুল মালেকের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও এক লাখ ৫০ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানায় র্যাব-১ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
টিএইচ/জেডএস