সরানো হলো আদালতের নামের সঙ্গে মিনিস্টার কোম্পানির বিলবোর্ডটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর সরিয়ে ফেলা হয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নামের সঙ্গে থাকা মিনিস্টার কোম্পানির বিলবোর্ডটি। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পরই বিলবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানান ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক অফিস সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এইচ এম মাছুম।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উড়াল সংযোগ পথের উপরে একটি বিলবোর্ডে ‘চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা’ লেখার পাশে মিনিস্টার কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন। লেখাটি পড়তে অনেকটা এরকম- ‘চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা মিনিস্টার এলইডি টিভি এসি ও রেফ্রিজারেটর।’
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আইনজীবী, আদালতের সংশ্লিষ্টরাসহ অনেকেই হাসি ঠাট্টা করছেন। পাশাপাশি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নামের একটি ফেসবুক পেজে দেখা যায়, ‘ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা মিনিস্টার। এখন থেকে কী লিখব? আদালতের গায়ে এমন বিজ্ঞাপন, দুঃখজনক ও হাস্যকর বটে।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক অফিস সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এইচ এম মাছুম তার ফেসবুকে আইডিতে লিখেন, ‘সিএমএম আদালতের নামের বিলবোর্ড সমাচার : আমি অবাক এবং বিস্ময় তাকিয়েছিলাম আজ সিএমএম কোর্টের একটি বিলবোর্ড দেখে। যেখানে একটি ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানির বিজ্ঞাপন। এর সঙ্গে কোর্টের নাম নাম দেখে। হতে পারে উক্ত কোম্পানির সৌজন্যে বিলবোর্ডটি নির্মিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো উক্ত কোম্পানির পণ্য নিয়ে কখনো মামলা-মোকদ্দমা হলে কোর্টের ভূমিকা কেমন হবে। সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোপূর্বে আমরা কখনও আদালতে নামের পাশে এরকম কোনো বিলবোর্ড দেখেনি। তবে আজ এটা দেখে হতবাক। এটা দেওয়া সমীচীন হয়নি। কারণ একটা কোম্পানি আদালতের নামের পাশে এরকম বিলবোর্ড দেওয়াটা অযৌক্তিক ও বিব্রতকর। আমরা শুনেছি বিল বোর্ড সরানো হয়েছে।
আদালতের নামের পাশে এ ধরনের বিলবোর্ড প্রকাশ্যে ঝুলানোর বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নামের পাশে এমন বিজ্ঞাপন থাকবে এটা খুবই দুঃখজনক। এটা হতে পারে না। যারা এ কাজটি করেছে তারা ঠিক করেননি। এটি আদালতের নামের সঙ্গে বেমানান। এটা যারা করছে আমরা খুঁজে বের করব। এ বিষয়ে আমরা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) সঙ্গে কথা বলব।
টিএইচ/এসএসএইচ