বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার নথি আদালতে রাখার নির্দেশ
মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সব নথি আদালতের হেফাজতে সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার শিমুল চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি করেছে। একই ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়েরের পর নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই আগের মামলার সব নথি আদালতের হেফাজতে সংরক্ষণের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সব নথি জুডিশিয়াল হেফাজতে তালাবদ্ধ করে সংরক্ষণের আদেশ দেন।
আইনজীবী আরও বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটি চার বছর ধরে তদন্ত হয়েছে। তদন্তে কী হলো, না হলো, তার সব নথিতে রয়েছে। এগুলো এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। এছাড়া, পুলিশ আরেকটি মামলা করে দিয়েছে বাবুল আক্তারের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই। এতে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। তাই আমরা আশঙ্কা করছি, বর্তমান মামলার সুবিধার জন্য আগের মামলার তথ্য-উপাত্ত সরিয়ে বা নষ্ট করা হতে পারে। সে কারণে নথিপত্রগুলো জেনারেল রেকর্ড শাখার পরিবর্তে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করি। আমরা মনে করি, নথিপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে থাকলে নিরাপদে থাকবে।
এদিকে, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মিতু হত্যা মামলার নথিপত্রের সার্টিফাইড কপিও আইনজীবীকে সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (১১ মে) ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
কেএম/আরএইচ