২০০২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের চরমানিকপুরে শামসুল হক বাবুল হত্যার দায়ে রবিউল আউয়াল নামে এক আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী সাজার ক্ষেত্রে রেয়াদ দেওয়ার বিষয়ে তাকে সকল সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৭ জুলাই রাতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল হক বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ রবিউল আউয়াল, তার দুই ভাই ইমান আলী ও কবির হোসেনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলার বিচার শেষে নিম্ন আদালত ২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি এক রায়ে রবিউল আউয়াল, তার দুই ভাই ইমান আলী ও কবির হোসেন এবং প্রতিবেশী আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের সময় রবিউল ছাড়া অপর তিন আসামি পলাতক ছিলেন। বাকি ১৩ জনকে খালাস দেন নিম্ন আদালত।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। অন্যদিকে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি রবিউল আপিল দাখিল করেন। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ৭ মে রবিউলসহ চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামি রবিউল পুনরায় আপিল বিভাগে আপিল করেন। এ আপিলের ওপর    শুনানি শেষে রায় দিলেন আপিল বিভাগ।

এমএইচডি/এসকেডি