দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে হাইকোর্টে তলব
কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জবানবন্দি অনুসারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজিম উদ্দিন বিশ্বাস ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরের নাম অভিযোগ পত্রে না আসায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ তলবের এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিভিশন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জে উন্নয়ন প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত তৎকালীন পিরোজপুর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্যরা। ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিরোজপুর সার্কিট হাউজের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নতুন সেনানিবাস স্থাপন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আরও ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা জেলা প্রশাসনের কাছে ধরা পড়ে। জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে এ সংক্রান্ত হিসাবের আরও কয়েক কোটি টাকা গরমিলের জন্যও কর্তৃপক্ষ ওই কর্মকর্তাকে দায়ী করছে।
পরে ওইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর একইদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে।
এমএইচডি/জেডএস