জামান ও তার স্ত্রীকে খুঁজে বের করতে বললেন পিয়াসা
রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের হাজত খানায় নেওয়ার পথে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা বলেছেন, ‘জামান ও জামানের বউকে খোঁজেন। ওই প্রস্টিটিউটকে খুঁজে বের করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাসাবির (ফ্যাশন হাউজ) মালিক জামান। জামানের কাছে যান। তার বউয়ের পরকীয়ার ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা। আমাদের না ধরে ওই প্রস্টিটিউটকে ধরেন। আমরা তার ষড়যন্ত্রের শিকার।’
বিজ্ঞাপন
তার এ কথা শুনে উপস্থিত সাংবাদিকরা পিয়াসার কাছে জানতে চান কে এই জামান? কিন্তু এর কোনো উত্তর দেননি তিনি। বারবার জামান ও তার স্ত্রীকে খোঁজে বের করতে বলেন পিয়াসা।
এর আগে গত ১ আগস্ট রাতে আটকের সময় সাংবাদিকদের কাছে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ভাসাবির জামানের স্ত্রী বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছিলেন। ভাসাবির জামানের স্ত্রী তানজি আমার পরিচিত। তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে গিয়ে পিয়াসার সঙ্গেও আমার পরিচয় হয়। তানজির সঙ্গে ওদের কার যেন ঝামেলা হয়েছে, সেজন্য আমাকেও ফাঁসানো হচ্ছে। আমার বাসায় এসব মদ আর ইয়াবা আগে থেকে ছিল না।
এদিকে গুলশান ও ভাটারা থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১১ আগস্ট) তিন দিনের রিমান্ড শেষে পিয়াসাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার মাদক মামলায় ৫ দিন ও গুলশান থানার মাদক মামলায় আরও ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাতে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি দল বারিধারায় পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তার বাসা থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে ডিবি। এছাড়া রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। ফ্রিজে পাওয়া যায় সিসা তৈরির কাঁচামাল।
টিএইচ/এসকেডি