প্রযোজক রাজ মেয়েদের বাসায় নিয়ে অশ্লীল কাজ করাতেন, সেগুলোর ভিডিও ক্লিপ ধারণ করতেন। যা সমাজের ঘৃণিত একটি কাজ।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসামি রাজের অপকর্মের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন, কেন ভিডিও ক্লিপ ধারণ করতেন বিষয়গুলোর সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

তিনি শুনানিতে বলেন, পর্নোগ্রাফি মামলায় কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে বলেছেন, জব্দ করা মালামাল আরও কি কাজে ব্যবহার করা হতো সেটা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তার মানে এগুলো অন্য কাজে লাগানো যায়। মূলত এগুলো পর্নোগ্রাফি কাজে ব্যবহার করা কোনো মালামাল নয়। স্যার পর্নোগ্রাফি আইনে কি আছে আপনি সেটা দেখেন। আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুনরায় রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি।

গত ৪ আগস্ট (বুধবার) রাতে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়াকে বনানীর বাসা থেকে মাদক ও সিসা সেবনের সরঞ্জামসহ আটক করে র‌্যাব। এছাড়া তাদের বাসা থেকে পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।

৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানীর বনানী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া রাজের বিরুদ্ধে মাদক আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওইদিন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজের সহযোগী মো. সবুজ আলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ ও মো. সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই আদালত তাদের দুজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত ৬ আগস্ট (শুক্রবার) বনানী থানার পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছায়। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এজাহার গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

টিএইচ/এসএসএইচ