মাদক ও পর্নোগ্রাফি মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও সহযোগী সবুজ আলীকে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মাদক মামলায় দুই দিন, আর পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিন।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চারদিনের রিমান্ড শেষে বনানী থানার মাদক মামলায় ফের তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে সিআইডি।

৪ আগস্ট (বুধবার) রাতে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়াকে বনানীর বাসা থেকে মাদক ও সিসা সেবনের সরঞ্জামসহ আটক করে র‌্যাব। এছাড়া তাদের বাসা থেকে পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।

৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানীর বনানী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া রাজের বিরুদ্ধে মাদক আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজের সহযোগী মো. সবুজ আলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ ও মো. সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই আদালত তাদের দুজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত ৬ আগস্ট (শুক্রবার) বনানী থানার পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছায়। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এজাহার গ্রহণ করে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

টিএইচ/জেডএস