সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন তাদের সুবিধাজনক দিনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে ১০ আগস্টের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা যাবে না।

নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট অকার্যকর ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত ২৬ জুলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই নির্ধারণ করা সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই আসনের ৭ জন ভোটার ও সুপ্রিম কোর্টের ৬ জন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

এর আগে ২৫ জুলাই চলমান লকডাউনের মধ্যে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাঠানো ৫ আইনজীবী হলেন- অ্যাডভোকেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

গত ১১ মার্চ সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসন শূন্য হয়। ১৫ মার্চ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই আসন ১১ মার্চ তারিখ থেকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এমএইচডি/জেডএস