আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটির মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কমিটি ২০২২ সালের ৩১ মে’র মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। নির্বাচিত কমিটি ১ জুলাই দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। 

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো.  কামরুল ইসলাম, ঢাকা বার থেকে অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, চট্টগ্রাম বার থেকে অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, সিলেট বার থেকে অ্যাডভোকেট এ এফ রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, ময়মনসিংহ বার থেকে অ্যাডভোকেট মো. কবির উদ্দিন ভূঞা, খুলনা বার থেকে অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান, রাজশাহী বার থেকে মো. ইয়াহিয়া ও সিরাজগঞ্জ বার থেকে অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. গোলাম মাহবুব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ জুলাই বার কাউন্সিল অধ্যাদেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প রাখা ছিল না। সেজন্য অধ্যাদেশটি সংশোধন করে এক বছরের জন্য অ্যাডহক কমিটি করার বিধান যুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২১-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তখন তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অধ্যাদেশে বলা আছে, বার কাউন্সিলে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচিত হবে। গত এক-দেড় বছর ধরে যে মহামারি অবস্থা চলছে, তাতে ইলেকশন করা সম্ভব হয়নি।’

মহামারি বা কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে ভোট না হলে বিকল্প কী হবে- তার কোনো ব্যাখ্যা অধ্যাদেশে ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কারণে বা আইনশৃঙ্খলার কারণে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে যদি ইলেকশন না হয়— তখন কী করণীয়, তা আগের আইনে ছিল না।’

এমএইচডি/এইচকে