ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপকের নামে মামলা
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক শনিবার (১ আগস্ট) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
আজ সোমবার (২ আগস্ট) মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এজহার গ্রহণ করেন। এরপর বিচারক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৪ জুলাই অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের পদত্যাগের জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন।
পদত্যাগপত্রের দাবি জানিয়ে সুমন কুমার রায় তার ওই আবেদনে বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন সনাতন ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট করেন। যার দ্বারা সারা বিশ্বের কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে তিনি যথেষ্ট নিম্ন রুচির ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে, এ ঘটনা অসচেতনভাবে কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে উল্লেখ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন হাফিজুর রহমান।
২৫ জুলাই দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, অনেকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন। যারা আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও লিখেছিলেন, আমি প্রত্যেকটি ধর্মের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল এবং মনে করি যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা উচিত নয়। তবুও অসচেতনভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আমার পোস্টের মাধ্যমে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি, সেজন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
টিএইচ/এইচকে