পদত্যাগ করে ভিকারুননিসার সম্মান রক্ষা করুন: ব্যারিস্টার সুমন
অডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাকে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে ভিকারুননিসার সম্মান রক্ষা করতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন এই আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভিকারুননিসায় সব মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ে থাকেন। সবদিক দিয়েই তারা অ্যাডভান্স। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায়ই ভিকারুননিসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে যিনি এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, তার একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে গেছে। এই অডিও রেকর্ডটি শুনে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। সেগুলো আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।’
সুমন বলেন, প্রথমে আমি বলতে চাই, কোনো মানুষের ব্যক্তিগত কথা ফাঁস হওয়া উচিত না। এটা আইনবিরোধী, সংবিধানবিরোধী। আমি মনে করি যারা ফাঁস করেছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এটি সরকারেরই দায়িত্ব। অডিওটি যদি সঠিক হয়ে থাকে, কথোপকথন যদি প্রিন্সিপালের হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলব এখানে আইনের বিষয় না। নৈতিকতার গ্রাউন্ডে একজন শিক্ষকের যে ভাষায় কথা বলা উচিত, তিনি সেভাবে বলেননি।
অডিওর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘উনি এক জায়গায় বলেছেন, আমি পিস্তল বালিশের নিচে নিয়ে ঘুমাই। এছাড়াও বিভিন্ন কথা বলেছেন। যেগুলো আসলে উচ্চারণ করার মতো না।’
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার অনেক কষ্ট হয়েছে, ভিকারুননিসার সফল যারা আছেন, তারা আজ কী চিন্তা করছেন। অনেকেই হামিদা ম্যাডামের কথা বলছেন। হামিদা ম্যাডামের সময়ে কী ভিকারুননিসা ছিল, আর এখন কী অবস্থা।’
শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘অডিওতে বলা কথাগুলো যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত। নৈতিকতার স্বার্থেই এটা করা উচিত। অন্যথায় ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ পদ থেকে আপাতত তাকে সরিয়ে দিন। ভিকারুননিসা থেকে কামরুন নাহারকে সরিয়ে দেওয়াটাই হবে উত্তম সিদ্ধান্ত। অডিওতে বলা বক্তব্য সত্য হওয়ার পরও যদি অধ্যক্ষকে সরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে ভিকারুননিসায় সন্তান ভর্তি করতে অভিভাবকরা উৎসাহ হারাবেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মেয়েদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তার মতো নারী হতে পারে না। তাকে সরিয়ে দিন। তাহলে বাংলাদেশে মেয়েদের গর্বের জায়গা, ভিকারুননিসার সম্মান রক্ষা পাবে।’
এমএইচডি/এমএইচএস