জাল নোটের কারখানা : গ্রেফতার দম্পতি ২ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বাড্ডা নুরেরচালা এলাকায় জাল নোট তৈরির কারখানা থেকে গ্রেফতার আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ওই দম্পতিসহ গ্রেফতার ৫ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামি আব্দুর রহিম ও ফাতেমা বেগমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে মামলার অপর তিন আসামি হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিনকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।
এর আগে সোমবার (১২ জুলাই) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাড্ডা নুরেরচালা সাঈদ নগরের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই বাসায় জাল নোট তৈরির কারখানা শুরু করেন আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারা এই কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। কারখানা থেকে মাসে তারা কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করতেন। সম্প্রতি তাদের এসব কর্মকাণ্ডের গোপন তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ।
অভিযান শেষে ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, নুরেরচালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠতলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির একটি ঘরোয়া কারখানা আবিষ্কার করা হয়। এরপর জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনের কাজে জড়িত এক নারীসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় কারখানাটি থেকে এক হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির প্রচুর পরিমাণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করতেন। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারা প্রতিমাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়তেন।
টিএইচ/জেডএস