রাজধানীর আদাবরে অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন ওরফে আলীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সাগর নামে এক আসামি। বুধবার (৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বুধবার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক অপূর্ব কুমার বর্মন। একইসঙ্গে আসামি সাগর, রনি ও রাজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এছাড়া লিটন, মুন্না ও আব্দুল্লাহর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তবে আসামি রনি ও রাজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে শুনানি শেষে আসামি লিটনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া মুন্না ও আব্দুল্লাহ কিশোর হওয়ায় তাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাদের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, মামলার অন্যতম আসামি আলমগীর ওরফে ছোট আলমগীর ওরফে টমেটো আলমগীরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে আলমগীরের বিরোধ চলছিল। গত ৩০ জুন আলমগীর হোসেন তার বড় ছেলে শাহিন আলমকে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় নবীনগর হাউজিংয়ের ৭ নম্বর রোডের রশিদিয়া মাদরাসায় খাবার দিতে যান। খাবার দিয়ে দুপুরের দিকে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উড়াল পাখি ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে পৌঁছালে আলমগীরসহ অন্য আসামিরা তার গতিরোধ করে। টমেটো আলমগীর ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে। আলমগীরের চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ জুলাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় ৬ জুলাই তার স্ত্রী মোছা. শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে আদাবর থানায় আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

টিএইচ/এসকেডি