আইনজীবীদের টিকার অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত করতে সার্কুলার
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করতে সার্কুলার জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, 'উপরিউক্ত বিষয়ের আলোকে আপনার সদয় অবগতি ও কার্যার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ অতিমারিতে আইনপেশায় নিয়োজিত আইনজীবীরা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে আইনসেবা ও পরামর্শ কার্যক্রম চালু রেখেছেন। নিরবচ্ছিন্ন আইনসেবা কার্যক্রম চালু রাখতে সব আইনজীবীকে টিকাদানের আওতায় আনা আবশ্যক। যেসব আইনজীবী এখনো সুরক্ষা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করেননি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদানের জন্য তাদেরকে সুরক্ষা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন। রেজিস্ট্রেশন এর পূর্বে তাদেরকে সুরক্ষা সিস্টেমে হোয়াইটলিস্টিং করা আবশ্যক।'
বিজ্ঞাপন
এমতাবস্থায় তালিকা প্রণয়নের জন্য আপনার আওতাধীন সব রেজিস্টার্ড আইনজীবীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত ছক অনুযায়ী নিম্নলিখিত ই-মেইন্সে এক্সেল ফরমেটে Nikosh Font-এ প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ৩০ জুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত সব আইনজীবীকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এছাড়া এই রিটের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন তার মতামত দেন।
আইনজীবীরা জানান, করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের অগ্রাধিকার তালিকায় ১৯ ধরনের ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে গত ১১ এপ্রিল রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. আবু তালেব। এর আগে গত ৩১ মার্চ সরকারের সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়। এ রিট আবেদনে গত ১৩ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
এমএইচডি/জেডএস