করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানীতে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিনে তাদের ছাড়িয়ে নিতে রোববার (৪ জুলাই) সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন স্বজনরা।   

স্বজনদের অভিযোগ, কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বা জরুরি কাজে বের হয়েও তাদের নিকটজনরা গ্রেফতার হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ছাড়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতে আনা হয়েছে। জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ছেলেকে জামিনে ছাড়িয়ে নিতে আদালতে এসেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আমার ছেলে তার চার বন্ধুসহ গুলশান থেকে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিল। ফেরার পথে তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়। তিন বন্ধুকে ছেড়ে দিলেও আমার ছেলেকে ছাড়েনি পুলিশ। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ বলছিল, থানায় গিয়ে ২০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেবে। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়নি। ধার করে তিন হাজার টাকা নিয়ে আসছি জামিন করাতে। এমনিতেও কাজ নাই। তার ওপর আবার এ লকডাউনে বাড়তি টাকা লাগছে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর ৬৩৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুই বিচারক শাহিনুর রহমান ও সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানা করছেন। জরিমানা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।  

পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৃতীয় দিনের মতো  শনিবার রাজধানীজুড়ে সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হওয়ায় ৬২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে (২ জুলাই) ৩২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। 

টিএইচ/আরএইচ