টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের ক্রোক করা বিলাসবহুল ছয়তলা বাড়ি, পাঁচলাইশের জায়গা, দুটি গাড়ি ও কক্সবাজারের ফ্ল্যাট দেখভাল করতে ‘রিসিভার’ নিয়োগ করেছেন আদালত। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) মামলার তদন্ত সংস্থা দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল ইসলাম মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার আদালতে সম্পত্তি দেখভাল করতে রিসিভার নিয়োগ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আদেশটি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক আদেশে প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী করণের নামে থাকা চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় ছয়তলা বাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পত্তি দেখভাল করতে রিসিভার নিয়োগ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ এই আদেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী মাহমুদুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ওসি প্রদীপের কোতোয়ালী এলাকার ছয়তলা বিল্ডিং, পাঁচলাইশ এলাকার জায়গা ও দুটি গাড়ি দেখভাল করার জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আর কক্সবাজারের ফ্ল্যাট দেখভাল করার জন্য কক্সবাজারের ডিসিকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে এক রায়ে এসব সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। 

গতবছরের ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন। 

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ দাশ।
 
কেএম/জেডএস